- Admin Login
-
+880 2-51104025
বান্দরবান কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে স্বাগতম
বাংলার দার্জিলিং নামে খ্যাত পাহাড় কণ্যা
বান্দরবান পার্বত্য জেলা। অপরূপ
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। এখানে দশ ভাষাভাষী ও এগারোটি উপজাতিসহ বাঙ্গালিদের
সহাবস্থান সৃষ্টি করেছে এক মধুর পরিবেশ। এক সময় শিক্ষার ক্ষেত্রে বান্দরবান একটি পিছিয়ে পড়া
জনপদ ছিল। দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা,
সচেতনতার অভাব, দারিদ্র, মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাব এর অন্যতম
কারণ।
জাতি গঠনের প্রধান হাতিয়ার হল শিক্ষা। শিক্ষা কারো দয়া বা অনুগ্রহ নয়।
মানুষের মৌলিক অধিকার সমূহের মধ্যে অন্যতম শিক্ষা। শিশু যাতে সুদক্ষ, স্বয়ং সম্পূর্ণ এবং
যুগোপযোগী হিসেবে উঠতে পারে সেটিই হল শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য।
এ সত্যকে উপলব্ধি করে আধুনিক বিজ্ঞান মনস্ক ও শিশুর প্রতিভা বিকাশে ব্রতি হয়ে বান্দরবান
জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে ১৯৮২ সালে শিশু বিতান কেজি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়।
প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব ফারুক আহমেদ। এ বিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রায়
বিভিন্ন জেলা প্রশাসকগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
তবে প্রাথমিক অবকাঠামোগত উন্নয়ন সার্ধিত হয় সাবেক জেলা প্রশাসক জনাব কে এম নাজমুল আলম
সিদ্দিকী মহোদয়ের আমলে।
২০০৭ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক আবদুল মজিদ শাহ আকন্দ এর সভাপতিত্বে বিদ্যালয় পরিচালনা
কমিটির সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শিশু বিতান কেজি স্কুল নাম পরিবর্তন করে বান্দরবান কালেক্টরেট
স্কুল নাম করণ করা হয়।
২০১৭ সালে, জনাব দিলীপ কুমার বণিক, জেলা প্রসাশক একান্ত প্রচেষ্টায় কালেক্টরেট স্কুল এন্ড
কলেজে রূপান্তর করা হয়।
আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি র্নিভর ডিজিটাল বাংলাদেশ ও রূপকল্প -২০২১ এর আলোকে ২০৪১ সালের মধ্যে
উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে জেলা প্রশাসক,
ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি মহোদয়ের সহযোগিতা ও পরামর্শে প্রতিষ্ঠানের সুনাম উত্তরোত্তর বৃদ্ধি
পাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পরিচালনা পর্ষদের বলিষ্ঠ ভূমিকায় এবং শিক্ষকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার
মাধ্যমে বান্দরবান কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ সুপ্রতিষ্ঠিত হবে-এটা সকলের প্রত্যাশা।
পরিচালনা পর্ষদ
জেলা প্রসাশক এর গতিশীল নেতৃত্বে বিসিএস(প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তা, শিক্ষকমন্ডলী ও
অভিভাবকদের সমন্বয়ে একটি সুদক্ষ পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক বান্দরবান কালেক্টরেট স্কুল এন্ড
কলেজটি পরিচালিত হয়।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
১. চারিত্রিক ও মানবিক গুনাবলীর সার্বিক বিকাশ সাধনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা , মনন ও
সৃজনশীলতার বহুমাত্রিক প্রকাশ ঘটিয়ে সুনাগরিক গড়ে তোলা ।
২. দায়িত্ববোধ, নৈতিকতা, নিয়মানুবর্তিতা ও সময়ানুবর্তিতা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করে
গড়ে তোলা।
৩. নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন আলোকিত মানুষ তৈরি করা ।
৪. শিক্ষার্থীদের চিন্তা, চেতনায় এবং কর্মে সৃজনশীলতা, জনকল্যাণ ও মানব সেবাবোধ জাগ্রত করে
তোলা।
৫. শিক্ষার পাশাপাশি শারীরিক, মানসিক ও মানবিক গুনাবলী বিকাশে সহায়তা করা।
৬. শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্বের বিকাশ এবং উচ্চ শিক্ষার উপযোগী করে গড়ে তোলা ।
৭. ইংরেজিতে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান, তত্ত্বীয় জ্ঞানে সীমাবদ্ধ না থেকে যথাযথ উপকরণ
ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষাকে বাস্তব ভিত্তিক ও আন্দনময় করে তোলা।
৮. শিক্ষার্থীদের মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম এবং আই. সি.টি. ব্যবহারের মাধ্যমে আধুনিক
প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলা।
৯. কঠোর শৃঙ্খলাবোধের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি করা।
১০. মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বীবিত করে সত্যিকার অর্থে একজন
দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলা।
বৈশিষ্ট্য
১. প্রতিষ্ঠানের নীতি / মটো :‘মানসম্মত শিক্ষার ব্রতে’
২. জেলা প্রসাশক মহোদয় সরাসরি তত্ত্বাবধানে সুদক্ষ পরিচালনা পর্ষদের পরিচালনায় মানসম্মত ও
যুগোপযোগী শিক্ষা প্রদানে নিশ্চিত করা ।
৩. আধুনিক ও সৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দক্ষ শিক্ষক দ্বারা পাঠদান।
৪. ইংরেজি ভাষার উপর অধিকতর গুরুত্ব প্রদান।
৫. শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি এক্সট্রা কারিকুলাম কর্মকান্ডের উপর
গুরুত্বারোপ।
৬. কোলাহলমুক্ত , মনোরম পরিবেশে সুন্দর ক্যাম্পাসে পাঠদান।